শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

বাঁশের সাঁকোই দশ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা 

বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি 

বাঁশের সাঁকোই দশ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা 

পাবনার বেড়া উপজেলাতে দশ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো সেটাও ভেঙে পড়েছে বিগত একমাস যাবু। উপজেলার পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের বক্তারপুর খালের উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে রাকসা বাজার পাড়ি দিয়ে উপজেলা শহরে আসতে হয় হাজার হাজার মানুষের। 

এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। এতে করে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন পথচারী এবং এলাশাবাসী। তাদের অভিযোগ ভেঙে পড়া কালভার্টটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বার বার জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। 

জানা যায়, এখানে যে কালভার্টটি ছিল দুই বছর আগে সেটা বর্ষায় ভেঙে গেলে সংস্কারের কোনো উদ্যাগে নেয়নি কতৃপক্ষ। পরে স্থানীয়দের উদ্যোগে ওই স্থানে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। এতে  বক্তারপুরসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটিও সর্ব সাধারণের যাতায়াতে নড়বড় হয়ে ভেঙে গেছে। এই সাঁকো দিয়ে পার হতে গিয়ে শিশু, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। 

স্থানীয় বাসিন্দা আজমল হোসেন জানান, দ্রুত সময় কালভার্টটি সংস্কার করা হলে একদিকে যেমন জনসাধারণের দুর্ভোগ কমবে তেমনি অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে। 

পথচারী কাইয়ুম আলি জানান, পাশেই প্রাথমিক বিদ্যালয় কিন্তু ভাঙাচোরা বাঁশের সাঁকোর কারণে আমাদের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা ভয়ে স্কুলে যেতে চায় না। শুধু তাই নয় সামনে মসজিদ থাকা সত্ত্বেও ঠিকমতো মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে পারেন না মুসল্লিরা। 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রফিক উল্লাহ জনগণের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন, আপাতত চলাচলের জন্য বাঁশের সাঁকোটি দ্রুত মেরামত করা হবে। তারপর বর্ষা মৌসুম শেষ হলে বরাদ্দ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়, তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা. সবুর আলি জানান, ইতোমধ্যে বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানকেও অবহিত করা হয়েছে। দু'একদিনের মধ্যে সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

টিএইচ